প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: July 28, 2024, 12:43 a.m.ঢালিউড চলচ্চিত্রের সুপারস্টার সাকিব খানের জনপ্রিয়তা এখন বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সাকিব এই জনপ্রিয়তা বাড়াতে চায়। তাই অভিনেতা পাকিস্তানেও ঢালিউডের চলচ্চিত্রগুলি ছড়িয়ে দিতে চান। একের পর এক দর্শকদের ব্লকবাস্টার উপহার দিয়ে চলেছেন সাকিব। 'প্রিয়তমা'র পর দর্শকরা 'তুফান' উপভোগ করছেন। 'রাজকুমার' দর্শকদের পছন্দের ছবির তালিকায়ও রয়েছে। তার শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে আসছে।
পাকিস্তানি সিনেমায় এমন সাফল্যের বন্যা বয়ে আনতে চান সাকিব। তিনি বলেন, "আমি আমার ছবিটি সেখানে মুক্তি দিতে চাই।" পাকিস্তানের একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে সাকিব পাকিস্তানি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে চান কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন, "আমরা পাকিস্তানে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। অতীতে আমরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যৌথ প্রযোজনায় অনেক চলচ্চিত্র দেখেছি। আমি আবার প্রক্রিয়াটি শুরু করতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ভারতীয় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।"সাকিব খান হলেন প্রথম বাংলাদেশী অভিনেতা যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে ক্রিয়েটিভ কালচার বিভাগের অধীনে ভিসা পেয়েছেন। এই অর্জন তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও পরিচিত করেছে এবং নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচিত করেছে।
সাকিবের এই উদ্যোগ ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। পাকিস্তানের বিশাল চলচ্চিত্র বাজারে ঢালিউডের প্রভাব বাড়ানো সাকিবের জন্য একটি বড় সাফল্য হবে। এছাড়া, দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সংস্কৃতির বিনিময় উভয় দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে।
সাকিব বলেন, "পাকিস্তানে আমাদের চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে দুই দেশের মানুষ একে অপরের সংস্কৃতি ও শিল্প সম্পর্কে আরও জানতে পারবে। এটি আমাদের বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও সুদৃঢ় করবে।"সাকিবের এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে সমর্থন ও প্রশংসা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ঢালিউডের বিশ্লেষকরা বলছেন, "সাকিব খানের জনপ্রিয়তা ও দক্ষতা পাকিস্তানে তাকে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি করতে সাহায্য করবে। তাঁর চলচ্চিত্রগুলি পাকিস্তানে মুক্তি পেলে এটি ঢালিউডের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।"
সাকিবের এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময় ও যৌথ প্রযোজনার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে। অভিনেতা হিসেবে সাকিবের এই পদক্ষেপ তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে এবং ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week