দুর্নীতিবাজদের অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ-বিএফআইইউ

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Aug. 9, 2024, 2:26 a.m.
দুর্নীতিবাজদের অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ-বিএফআইইউ

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের চিফ অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সতর্কবার্তা প্রদান করেছে।

 

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশের চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা ব্যাংক থেকে অর্থ সরানোর এবং পাচারের চেষ্টা করতে পারে।

 

বিএফআইইউ-এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত সকল নিয়ম-কানুন শতভাগ মেনে চলতে হবে। পরিচিতি বা স্বজনপ্রীতি করে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না, এবং ছাড় দেওয়ার চেষ্টা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেনের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) এবং সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর) প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এসব প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

 

সাধারণত, এসব নির্দেশনা সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়। তবে বিএফআইইউ প্রধানের অনুপস্থিতির কারণে বর্তমানে সার্কুলার জারি করা সম্ভব হয়নি।

 

এর আগে, বুধবার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর এবং একজন উপদেষ্টাকে ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ ব্যাংকে আসছেন না বলে জানা গেছে। অনেকের মতে, তিনি বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন এবং সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের দুর্নীতির অর্থ সরানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, ইসলামী ব্যাংক গতকাল একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৪৮ কোটি টাকার চেক প্রত্যাখ্যান করেছে। চেকটি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখায় জমা হয়েছিল, কিন্তু সংস্থার দেওয়া যোগাযোগ নম্বর বন্ধ পাওয়ায় চেকটি বাতিল করা হয়েছে। দেশের অস্থিরতার কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের এই চেষ্টা সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।


আরও পড়ুন