প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: May 20, 2024, 1:02 a.m.পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ বলেছেন, "আজ এটা পরিষ্কার যে, আমরা ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চাই। সরকার চুরি করার পরে যে ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে তা ১১ থেকে ১২ টাকা। আমি আপনাদের হিসাব করে দেখাতে পারি যে, এটা ৩ টাকার বেশি হতে পারে না। গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ১ টাকা ৭৮ পয়সা। এখানে কোনো নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়নি, সব পুরানো। তাহলে ১২ টাকা কেন বলা হচ্ছে? তেল, ফার্নেস অয়েল ও কয়লার কথা বলা হয়েছে। এগুলো দিয়েই কি ১৩ টাকা হয়ে যাবে? অসম্ভব।"
গতকাল ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে 'বিদ্যুৎ: আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদ উর রহমান।
বিডি রহমতুল্লাহ আরও বলেন, "যেখানে ৫৫ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে ১ টাকা ৮০ পয়সা হিসেবে খরচ হবে ৩ থেকে ৫ টাকা। তারা বেশ কয়েকটি হিসাব দেখিয়েছে। তিনটি কয়লার পাওয়ার স্টেশন বসাচ্ছে - এস আলম, আজিজ খান, পায়রাতে চায়না বাংলা ফ্রেন্ডশিপ এবং রামপালে ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ। চাইনিজ পাওয়ার স্টেশনের হিসাব দেখিয়ে তিনি বলেন, যদি প্রতি মেগাওয়াটে কয়লাতে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়, এবং যদি এটা ১২শ’ মেগাওয়াট হয় তাহলে ৭২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু তারা প্রতি মেগাওয়াটে কয়লাতে খরচ দেখিয়েছে ৪২ কোটি টাকা। আমরা কীভাবে সহ্য করবো এগুলো? এই বেশি টাকা কেন আমরা দেবো? সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকায় প্রতি মেগাওয়াটে পাওয়ার স্টেশন বানানোর কথা, সেটা তারা ৪২ কোটি টাকা দিয়ে বানাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদি জনগণের সরকার আসে, আমি জোর গলায় বলতে চাই, যত কয়লা ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন হয়েছে, আমরা তা ভেঙে ফেলবো। এই জিনিসগুলো তৈরি করা হয়েছে শুধু টাকা লুটপাটের জন্য, এগুলো থাকলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে। আমি এই দেশে কয়লা পাওয়ার স্টেশন বানাবো না। সারা বিশ্বও তাই করছে। খবর নিয়ে দেখুন, কয়লাভিত্তিক পাওয়ার স্টেশনের জন্য আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চায়না এবং ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত পাওয়ার স্টেশন বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে জ্বালানি থাকতে হবে, তার ১০০ ভাগ আমাদের কাছে আছে। আমরা জ্বালানি দিয়ে নবায়নযোগ্য এনার্জি তৈরি করতে পারি। সম্প্রতি সোলারভিত্তিক পাওয়ার স্টেশন হচ্ছে, যা ১৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াটের।"
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week