কোটা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে-ওবায়দুল কাদের

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 11, 2024, 10:41 p.m.
কোটা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে-ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে জনগণের একটি অংশ। তিনি বলেন, 'কেউ যদি এই আন্দোলনকে রাজনীতিতে ফাঁদে ফেলতে চায়, আমরা রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করব।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, এই মুহূর্তে কোনো কোটা সংরক্ষিত নেই। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, 'কিছু রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক লাভের জন্য জ্বালানি দিচ্ছে। বিএনপি সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই বনধকে সমর্থন করেছে। তারা এটা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করেছে। এবং আন্দোলনকারীরা ছাত্রদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে এবং তাদের অতীত আন্দোলনের ব্যর্থতা ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ফাঁদে ফেলছে। তারা এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বিএনপির স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। মানে, তারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের উচিত আদালতকে সম্মান করা।

আন্দোলনের নামে মানুষের চলাচলে বাধা দেওয়া বেআইনি উল্লেখ করে কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষকে জিম্মি করে তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এই ধরনের পদক্ষেপ দেশ বা জনগণের স্বার্থে নয়। তুষ্টির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ঝামেলা সৃষ্টির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তারা সুপ্রিম কোর্টের প্রতি কোনো সম্মান ছাড়াই অবরোধের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

কোটা বাতিলের পর নারীরা পিছিয়ে পড়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, কোটা বাতিলের পর নারীরা পিছিয়ে পড়েছে। যা ৩.৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে। পুলিশ ক্যাডারে মাত্র ৪ জন, বিদেশি ক্যাডারে ২ জন, ২৪টি জেলার কোনো প্রার্থীই পুলিশ ক্যাডারে চাকরি পাননি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউই কোনো পরীক্ষায় চাকরি পাননি। তাই এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোটার অর্থ বৈষম্য নয়, বৈষম্য দূর করতে কোটার প্রয়োজন।

আদালতের নির্দেশের পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সব কর্মসূচি বন্ধ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আস্থা রেখে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কেউ আইন ভাঙার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কেউ তাদের ব্যবহার করে যুবকদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা না করে। ছোটখাটো স্বার্থে নয়, দেশের কল্যাণে যুবসমাজকে ব্যবহার করা উচিত।


আরও পড়ুন