প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Jan. 17, 2024, 7:25 p.m.যেন এক নিপুণ শিল্পকর্ম। উঁচু-নিচু টিলার ভাঁজে ভাঁজে সারি সারি আনারস, কমলা, মাল্টা ও লেবুগাছ। আছে কাজুবাদাম আর কফিগাছও। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে এই কৃষি খামার, নাম ‘ আলভীনা গার্ডেন’।চালুর অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশাল এক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এটি। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে শত শত ভ্রমণপিপাসু ছুটে আসছেন এখানে। টিকিট কেটে ঢুকছেন এর ফলবাগানে। ঘুরে দেখছেন।এখানে পাহাড়ের ওপর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। সেখানে বসে টাটকা ফল ও ফলের জুস উপভোগ করতে পারেন তারা। অনেকেই সেগুলো কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন।ইংল্যান্ডের ইষ্ট লন্ডনে থাকার সুবাদে কৃষি পর্যটনব বা অ্যাগ্রো ট্যুরিজমের সঙ্গে পরিচয় ঘটে আলভীনা গার্ডেনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুর রব রুবেলের। বিভিন্ন বিষয় দেখে এ বিষয়ে আগ্রহ তৈরির ফলেই দেশে এমন একটি বাগান করার কথা চিন্তা করেন তিনি।তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ওখানে বড় বড় ফার্মগুলোতে ফ্যামিলি প্যাকেজ বলে একটা সিস্টেম আছে। সেখানে ট্যুরিষ্টরা যাবে, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘোরাঘুরি-সব করবে। পরে ওই প্যাকেজ অনুযায়ী তা পে(পরিশোধ) করবে। বিষয়টি আমার দারুণ লেগে যায়। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে এমন একটা কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে।’লন্ডন থেকে দেশে ফিরে কৃষি অফিসের সাথে পরামর্শ করেন তিনি। তারা প্রথমে লেবু ও আনারস দিয়ে শুরু করতে বলেন। সেই থেকে শুরু।এখন তার বাগানে কফি, মালটা, কমলা ও আনারসের বিপুল সমাহার। রুবেলের স্বপ্ন, আগামী বছর থেকে পর্যটকরা তার বাগানে উৎপাদিত কফিতে আয়েশ করে চুমুক দিতে পারবেন।সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের পাহাড়লাইন রোডের নিজ ঢাকা দক্ষিণে আলভীনা গার্ডেনের অবস্থান। ২০২১ সালের জুন মাসে ১৭ একর জমিতে বাগান তৈরির কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘১০ বছরের জন্য ১৭ একর জায়গাটি লিজ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে এই লিজের সময় আরো বাড়বে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week