কেশবপুরে পুলিশি অভিযানের পরও অপ্রতিরোধ্য মাদককারবার

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 9, 2024, 10:50 a.m.
কেশবপুরে পুলিশি অভিযানের পরও অপ্রতিরোধ্য মাদককারবার

কেশবপুরে পুলিশি অভিযান চললেও মাদককারবার যেন থামছে না। মাদককারবারিরা দিনদিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। নেশার টাকা যোগাতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা শঙ্কিত।

জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উঠতি বয়সী যুবক, শিক্ষার্থীসহ কিশোর গ্যাং বাহিনী জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে। এর মধ্যে উপজেলার মজিদপুর, বাগদা, দেউলি, প্রতাপপুর, শ্রীফলা, মঙ্গলকোট, চুয়াডাঙ্গা, কর্ন্দপপুর, আলতাপোল, হাসানপুর, টিটাবাজিতপুর, বুড়িহাটি, চিংড়া, সাগরদাঁড়ি, পাঁজিয়া বাজার, বাউশলা, ফতেপুর, আলতাপোল, সন্যাসগাছা ব্রীজেরমাথা, গৃধরনগর ও পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত স্থানীয় ও বহিরাগত যুবকেরা মাদক কেনাবেচা করছেন। বিভিন্ন সময়ে কেশবপুর থানা, গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলেও থামছে না মাদকের ছোবল।

শুধু চলতি বছরের মে মাস ও ৮ জুলাই পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন মাদককারবারের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে হানা দিয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরা মাদকদ্রব্যসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ও গাঁজা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর থানা পুলিশ গত ৮ মে উপজেলার দেউলি গ্রামের বিমল দাসের ছেলে পলাশ দাস ও বিষ্ণুপদ দাসের ছেলেকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। পরে ৩১ মে উপজেলার আলতাপোল মীরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে ইজাজুল ইসলামকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ৬ জুন উপজেলার গৃধরনগর গ্রামের মৃত সাজ্জাত আলী গাজীর ছেলে মমিন উদ্দিনকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ জুন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আবদুল গফফার শেখের ছেলে আক্তারুজ্জামানকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিনে উপজেলার বাউশলা গ্রামের নফর আলী মোড়লের ছেলে শাহিনুর রহমানকে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশি অভিযানের পরও মাদক ব্যবসা থেমে না যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র অভিযান পরিচালনা করে মাদকের মূল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মাদকের চাহিদা ও সরবরাহ কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদান করে তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।


আরও পড়ুন