হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১২ টি পরিত্যক্ত বিমান বাজেয়াপ্ত

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: May 29, 2024, 11:55 p.m.
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১২ টি পরিত্যক্ত বিমান বাজেয়াপ্ত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ১২টি বিমান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই বিমানগুলো ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, এবং অ্যাঞ্জেল এয়ারওয়েজের অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে এই বিমানগুলো অপসারণ না হওয়ায় বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো এলাকায় নিয়মিত ও অনিয়মিত ফ্লাইটের পার্কিং, উড়োজাহাজে মালামাল বোঝাই এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বারবার সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোকে বিমানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেও কোনও সাড়া পায়নি। পরিত্যক্ত বিমানগুলো অপসারণ না করার কারণে বিমানবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সার্বিক এভিয়েশন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছিল এবং দেশের রপ্তানি উন্নয়ন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এয়ারলাইন্সগুলো বিমানগুলো মেরামত করতে বা সরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে, যার ফলে বিমানগুলো অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে বেবিচক বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাজেয়াপ্তকৃত বিমানগুলোর মধ্যে বোয়িং ৭৩৭, এমডি-৮০ এবং এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের বিমান রয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিলামে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে জমা দিতে হবে।

বেবিচক বাজেয়াপ্ত করা বিমানগুলোর নিলামের আয়োজন করবে এবং নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিমানবন্দরের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার ফলে ট্রানজিট ফ্লাইট ও কার্গো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল এবং নতুন কার্গো ফ্লাইটের অনুমোদন দিতে সমস্যা হচ্ছিল। বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এবং যাত্রী ও মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেবিচক সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া, বিমানবন্দরের অন্যান্য এলাকায় অব্যবহৃত সম্পদ ও জায়গাগুলো সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন