রাজধানীর বাজারে সবজি ও চালের দাম বেড়েছে, ডিম ও মুরগির দাম কমেছে

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Aug. 16, 2024, 3:28 p.m.
রাজধানীর বাজারে সবজি ও চালের দাম বেড়েছে, ডিম ও মুরগির দাম কমেছে

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি বাজার এবং হাতিরপুল মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব ধরনের সবজি ও চালের দাম বেড়েছে। তবে, ডিম এবং মুরগির দাম কমেছে।

 

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি আন্দোলন, কারফিউ এবং সরকারের পতনের কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ওঠানামা করছে। বর্তমানে বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, এবং বেশিরভাগ পণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

 

বিশেষ করে, কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ২০০-২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৩৮০ টাকায় পৌঁছেছে। পেঁয়াজ এবং আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে; প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা এবং আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া, পেট্রোল ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, শসা ৮০ টাকা কেজি, কড়াইশুঁটি ৭০ টাকা কেজি এবং লাউ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, বেগুন, লাউ, টমেটো প্রভৃতি সবজি দাম বাড়িয়ে ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

চালের দামও বেড়েছে। সব ধরনের চালের (৫০ কেজি) ব্যাগ প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং কেজি প্রতি ৩-৮ টাকা বেড়েছে। পাইজামের চাল কেজি প্রতি ৫৮ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ৫৫ টাকা ছিল। মোটা চাল (সোনা) কেজি প্রতি ৫৫ টাকা এবং মুরগির চাল কেজি প্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৫২ টাকা ছিল।

 

চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চলমান অস্থিরতার কারণে জুলাই মাস থেকেই চালের দাম বেড়েছে এবং এখনও একই অবস্থা চলছে। মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়, যার কারণে খুচরো বাজারে দাম বেশি।

 

এদিকে, গরুর মাংসের দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০-২০ টাকা কমে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি এবং সোনার মুরগির দাম ২৮০ টাকা থেকে কমে ২৫০ টাকা কেজি হয়েছে। প্রতি ডজন মুরগির ডিম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছের দাম গত এক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। রুই কেজি প্রতি ৩৪০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি প্রতি ২২০-২৪০ টাকা এবং পাঙ্গাশ কেজি প্রতি ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবড়াসহ কিছু মাছের দাম ৫০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকায় পৌঁছেছে।

 

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মুহাইমিনুল হক বলেন, "আমি শুনেছি শিক্ষার্থীরা বাজারের ওপর নজর রাখছে এবং রাস্তায় লুটপাটের খবরও পেয়েছি। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বর্তমান সরকারকে বাজারের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। বেসরকারী কর্মচারীরা মনে করছেন, সিন্ডিকেটগুলিকে ভেঙে দেওয়া গেলে বাজারে স্বস্তি আসবে।"


আরও পড়ুন